Wednesday, November 18, 2015

ছেলেদের ত্বক এবং চুলের সমস্যার সমাধান


ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে শীত ও আবার ঘুরে চলে এল। আর এর সাথে সাথেই শুরু হয়ে
যায় ত্বক ও চুলের যত সমস্যা। অনেকেই মনে করেন ছেলেদের রূপচর্চার কোনো
প্রয়োজন নেই। কিন্তু শীতের শুরুতে তাদের ত্বকেরও অনেক সমস্যা শুরু হয়। চুল
ভাঙ্গা, রুক্ষ ও চিটচিটে হয়ে যাওয়া, র‍্যাশ, ত্বকের শুষ্কতা, ঠোঁট ফাটা,
পায়ের গোড়ালী ফাটা আরও কত কি। সাধারণত হঠাৎ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকের
সহনশীলতা বদলে যায় ফলে এই সব সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। তাই আজ আমরা এই শীতে
ছেলেদের ত্বকের ও চুলের কিছু সাধারন সমস্যা নিয়ে কথা বলব এবং এ থেকে
মুক্তির উপায় আলোচনা করব।


ছেলেদের ত্বক এবং চুলের সমস্যার সমাধান
ত্বক-শীতে
 আপনার ত্বকের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে শুষ্কতা। মুখ ধোয়ার পরে তো এটি
এত টানটান হয়ে থাকে যা খুবই আস্বস্থিকর। ক্রিম লাগানোর কিছুক্ষন পর্যন্ত
ভালো থাকলেও কিছুক্ষন পর অতিরিক্ত তেল চিটচিটে হয়ে যায়। ফলে বারবার মুখ
ধুতে হয়। তাই এ সময় এর চাই একটু অতিরিক্ত যত্ন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে
প্রতিদিন সকালে ও রাতে মশ্চারাইজার যুক্ত ক্রীম ব্যাবহার করুন। এছাড়া রাতে
ঘুমানোর আগে ১/৪ কাপ দুধ এ ১ চামুচ মধু ও ১ চামুচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে
লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এতে করে আপনার ত্বকের শুষ্কতা তো কমবেই তার সাথে আপনার মুখ হয়ে উঠবে আরো
কোমল ও উজ্জ্বল।
শীত কালে অনেকেরই চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলে এক ধরনের চিটচিটে ভাব চলে আসে। এর ফলে অনেক সময় চুলের আগা ফেটে যায়। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে
চুলে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। একটি
স্টীলের বাটিতে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল নিয়ে নিন। এবার একটা কাচা আমলকী
 কেটে এর সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটাকে চুলার উপর একটা কাপড় দিয়ে ধরে
কিছুক্ষন গরম করে নিন। কিছুক্ষন রেখে গিয়ে কুসুম গরম থাকতে চুলের আগায় ও
গোড়ায় ভালো করে আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তেল ম্যাসাজ করে নিন। মনে রাখবেন
কখনোই খুব গরম তেল চুলে লাগাবেন না। এতে চুল পরে যেতের পারে। সারা রাত চুলে
 তেলের উপস্থিতিতে চুলের রুক্ষ ভাব কেটে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে
উজ্জ্বল।
র‍্যাশ-শীতে
 ত্বকের আরেকটা সমস্যা হচ্ছে র‍্যাশ। অনেক সময় শরীরে লাল, ছোট ছোট ফুসকুনির
 মত হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত শীতকালে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমন ও উলের পোশাক
পরার কারনে হয়ে থাকে। এগুলো শরীরে চুলকানি ও অস্বস্থিকর অবস্থা তৈরী করে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন গোসলের পানিটাকে একটু ফুটিয়ে হালকা
গরম পানি দিয়েই গোসল করুন। এছাড়া পানির ব্যাক্টেরিয়া দূর করার জন্য
এন্টিসেপ্টিক জাতীয় কোনো লিকুইড মিশিয়ে নিতে পারেন। সবসময় উষ্ণ থাকার
চেষ্টা করুন। উলের কাপড় পরার সময় অবশ্যই তার নিচে সুতি অথবা অন্য পাতলা এবং
 আরামদায়ক কাপড়ের কিছু পরে নিবেন।
গোড়ালী ফেটে যাওয়া
শীতের দিনে আরেকটা কমন সমস্যা হচ্ছে পায়ের গোড়ালী ফেটে যাওয়া। এ থেকে মুক্তি পেতে
প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অবশ্যই পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলী লাগিয়ে নিতে পারেন।
এছাড়া প্রতিদিন গোসলের সময় শক্ত কিছু দিয়ে পায়ের গোড়ালীটা একটু ঘষে নিতে
পারেন। এতে মৃত কোষগুলো বের হয়ে যাবে। এছাড়া নিয়মিত মশ্চারাইজার যুক্ত লোশন
 ব্যাবহার করুন। এতে করে হাত পায়ের খসখসে ভাব থাকে না।

Tuesday, November 17, 2015

অচেনা যত উপকারিতা চিরচেনা তুলসী পাতার

তুলসী আমাদের সবারই কমবেশি পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ocimum tenuiflorum, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য তুলসী পবিত্রতার প্রতীক। তাই একে হলি বেসিলও বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা তুলসী পাতার আছে। প্রচলিত আছে যে, তুলসী পাতা নিয়মিত সেবন করলে সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়। আসুন জেনে নেই তুলসী পাতার উপকারিতা গুলো।
১। নিরাময় ক্ষমতা
তুলসী পাতার অনেক ঔষধি গুনাগুণ আছে। তুলসি পাতা নার্ভ টনিক ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি কারী। এটা শ্বাস নালী থেকে সর্দি–কাশী দূর করে। তুলসীর ক্ষত সারানোর ক্ষমতা আছে। তুলসী পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি করে ও অনেক বেশি ঘাম নিঃসৃত হতে সাহায্য করে।
২। জ্বর ভালো করে
তুলসীর জীবাণু নাশক, ছত্রাক নাশক ও ব্যাক্টেরিয়া নাশক ক্ষমতা আছে। তাই এটা জ্বর ভালো করতে পারে। সাধারণ জ্বর থেকে ম্যালেরিয়ার জ্বর পর্যন্ত ভালো করতে পারে তুলসী পাতা।
– আধা লিটার পানিতে কিছু তুলসী পাতা ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে নিন
– এক্ষেত্রে তুলসী ও এলাচ গুঁড়ার অনুপাত হবে ১:০.৩
– জ্বাল দিতে দিতে মিশ্রণটিকে অর্ধেক করে ফেলুন
– মিশ্রণটির সাথে চিনি ও দুধ মিশিয়ে ২-৩ ঘণ্টা পর পর পান করুন
– এই মিশ্রণটি শিশুদের জন্য অনেক কার্যকরী।
৩। ডায়াবেটিস নিরাময় করে
তুলসী পাতায় প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এসেনশিয়াল অয়েল আছে যা ইউজেনল, মিথাইল ইউজেনল ও ক্যারিওফাইলিন উৎপন্ন করে। এই উপাদান গুলো অগ্নাশয়ের বিটা সেলকে কাজ করতে সাহায্য করে( বিটা সেল ইনসুলিন জমা রাখে ও নিঃসৃত করে)। যার ফলে ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এতে ব্লাড সুগার কমে এবং ডায়াবেটিস ভালো হয়।
৪। কিডনি পাথর দূর করে
রক্তের ইউরিক এসিড-এর লেভেলকে কমতে সাহায্য করে কিডনিকে পরিষ্কার করে তুলসী পাতা। তুলসীর অ্যাসেটিক এসিড এবং এসেনশিয়াল অয়েল এর উপাদান গুলো কিডনির পাথর ভাঙতে সাহায্য করে ও ব্যাথা কমায়। কিডনির পাথর দূর করার জন্য প্রতিদিন তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এভাবে নিয়মিত ৬ মাস খেলে কিডনি পাথর দূর হবে।
৫। ক্যান্সার নিরাময় করে
তুলসীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি কারসেনোজেনিক উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওরাল ক্যান্সার এর বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারে। কারণ এর উপাদানগুলো টিউমারের মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। উপকার পেতে প্রতিদিন তুলসীর রস খান।
৬। শিশুদের বিভিন্ন অসুখ যেমন- ঠাণ্ডা, জ্বর,ডায়রিয়া, বমি ইত্যাদি ভালো করে। শিশুদের চিকেন পক্সের দাগ যদি না যায় তাহলে তুলসীর রসের সাথে জাফরান মিশিয়ে ব্যবহার করলে দাগ দূর হবে।
৭। তুলসীর স্ট্রেস কমানোর ক্ষমতা আছে। সুস্থ মানুষও প্রতিদিন ১২ টি তুলসী পাতা চিবালে স্ট্রেস মুক্ত থাকতে পারবেন।
৮। তুলসী পাতা মুখের আলসার ভালো করতে পারে।
৯। মাথা ব্যথা ভালো করতে পারে।এর জন্য চন্দনের পেস্ট এর সাথে তুলসী পাতা বাটা মিশিয়ে কপালে লাগালে মাথাব্যথা ভালো হবে।
১০। ওজন কমতে সাহায্য করে
১১। দাঁতের জন্য ভালো।
১২। তুলসী পাতা রক্ত পরিষ্কার করে, কোলেস্টেরল কমায়
১৩। পোকায় কামড় দিলে তুলসীর রস ব্যবহার করলে ব্যথা দূর হয়।

শরীরের স্থূলতা কমান সহজ ৯টি উপায়ে

দেহের ওজন বৃদ্ধি অনেকের জন্যই বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে। আর ওজন যখন বাড়াবাড়ি রকমের হয়ে যায় তখন এ সমস্যা মারাত্মক হয়ে দেখা দেয়। এটি দূর করতে মাত্রাতিরিক্ত অনুশীলন কিংবা জিনমেশিয়ামে বাড়তি সময় ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। সহজ কিছু উপায়েই এ সমস্যা দূর করা যায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. স্থূলতা বা শরীরের অতিরিক্ত ওজনকে একটি রোগ হিসেবে মেনে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনার যদি এ রোগটি থাকে বা হওয়ার পর্যায়ে থাকে তাহলে তা নিরাময়ের জন্য চেষ্টা করুন। এ চেষ্টাতেই সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হতে পারে।
২. আপনার দেহের ওজন বেশি হলে তা যেন আর না বাড়ে সেজন্য সচেতন হোন। এক্ষেত্রে সুস্থ জীবনযাপন হতে পারে একটি ভালো সমাধান।
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খান। খাবারের তালিকায় রাখুন ফলমূল, সবুজ শাক, সবজি, দানাদার ও খোসাযুক্ত খাবার। এড়িয়ে চলুন মিষ্টি, ভাজা-পোড়া, প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার। বাড়তি তেল, লবণ, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। খাবারের পাত্রের আকার ছোট রাখুন।
৪. দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট কার্ডিওভাস্কুলার এক্সারসাইজ করুন। এক্ষেত্রে কোনো যন্ত্রপাতির দরকার নেই। জোরে হাঁটা, জগিং করা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতারের মাধ্যমেই এ ব্যায়াম করা সম্ভব।
৫. চিকিৎসকের যথাযথ পরামর্শ ছাড়া দ্রুত ওজন কমানোর কোনো পদ্ধতি প্রয়োগ করতে যাবেন না। এতে দেহের প্রতি বাড়তি চাপ সৃষ্টি হতে পারে, যাতে আপনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। এর ফলাফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছেও ভেস্তে যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
৬. আপনার দেহের ওজন বেশি হলেও তা মানসিক চাপ হিসেবে নেবেন না। সামাজিক চাপে অনেকেরই ওজন বৃদ্ধির এ সমস্যা আরো বেড়ে যায়।
৭. ধূমপান ত্যাগ করুন। অনেক ধূমপায়ীরই ধারণা এতে তাদের দেহের ওজন কমবে। যদিও এ ধারণা ভুল। ধূমপান পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলতে পারে।
৮. যদি খাবার ও শারীরিক অনুশীলনে আপনার সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারির কথা চিন্তা করতে পারেন। এটি একমাত্র চিকিৎসাবিদ্যা সমর্থিত মেদ কমানোর পদ্ধতি। অন্য কোনো পদ্ধতির কথা চিকিৎসাবিদ্যা সমর্থন করে না।
৯. হঠাৎ করে দেহের ওজন কমানো সম্ভব হয় না। এজন্য কিছুদিন ধৈর্য্য ধরে ধীরে ধীরে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। হঠাৎ করে ওজন কমানোর চেষ্টা শুরু করলেই যে ওজন কমে যাবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। এজন্য কিছুদিন সময় লাগবেই।

Saturday, November 14, 2015

বাড়ির ছাদে বাগান করুন


বিভিন্ন দেশের শহরগুলোর বাড়ির ছাদে আজকাল বাগান করা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।  আমাদের দেশেও বিভিন্ন বাড়ির ছাদে এখন বাগান করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে  বিভিন্ন বাড়ির ছাদে বাগান চোখে পড়ে।  অনেকেই বাড়ির ছাদে বাগান করতে আগ্রহী।কিন্তু কিভাবে নিজের বাড়ির ছাদে বাগান করবেন, তার দিক-নির্দেশনা বা তথ্য না জানার কারণে শখকে শুধু মনের ভেতরে লালন করে যাচ্ছেন। তাই আগ্রহীদের জন্য ছাদে বাগান করার যাবতীয় বিষয় তুলে ধরা হলো।
পাকা বাড়ির খালি ছাদে অথবা বেলকনীতে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ফুল, ফল, শাক-সবজির বাগান গড়ে তোলা যায়।তবে ছাদে বাগান বানানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে বাগান করার জন্য ছাদের কোন প্রকার ক্ষতি যেন না হয়।
garden
ছাদে বাগান দু’ভাগে করা যায়। যেমন কাঠ বা লোহার ফ্রেমে এঁটে বেড তৈরি করে এবং অন্যটি হলো টব, ড্রাম, পট কনটেইনার এসব ব্যবহার করে। প্রথম ক্ষেত্রে পুরো ছাদ বা ছাদের অংশবিশেষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্নিশের পার্শ্বে বা আলাদা ফ্রেম করে সুন্দরভাবে ডিজাইন করে সেটিং করা যায়। এ ক্ষেত্রে জল ছাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জল ছাদ না থাকলে আলকাতরার প্রলেপ দিয়ে এর ওপর মোটা পলিথিন বিছিয়ে এতে মাটি দিতে হবে। মনে রাখতে হবে মাটির পুরুত্ব যত বেশি হবে, গাছ তত ভাল হবে। অন্তত দু’ফুট পুরু মাটির স্তর থাকতে হবে। অতিরিক্ত পানি, সার পাবার সুষ্ঠু পথ রাখতে হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে। ফ্রেম তৈরির ক্ষেত্রে কাঠ, লোহা, স্টিল, মোটা রাবার এসব ব্যবহার করা যায়। তবে যা কিছু দিয়ে বা যেভাবেই বেড তৈরি হোক না কেন ৩/৪ বছর পর পুরো বেড ভেঙ্গে নতুন করে তৈরি করতে হবে। এতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। ছাদে বাগানের জন্য শুরুতেই যদি মাটিকে ফরমালডিহাইড দিয়ে (প্রতি লিটার পানির সাথে ১০০ মিলিলিটার ফরমালডিহাইড) শোধন করে নেওয়া যায় তবে ভাল হয়।garden-1

মাটি শোধনের কৌশল হচ্ছে প্রয়োজন অনুযায়ী মাটি নিয়ে বর্ণিত মাত্রায় ফরমালডিহাইড মিশ্রিত পানি মাটিতে ছিটিয়ে দিয়ে পুরো মাটিকে মোটা পলিথিন দিয়ে ৩/৪ দিন ঢেকে রাখতে হবে। পরে পলিথিন উঠিয়ে সূর্যের আলোর তাপে খুলে রাখতে হবে পরবর্তী ৩/৪ দিন পর্যন্ত। ফরমালিনের গন্ধ শেষ হয়ে গেলেই মাটি ব্যবহারের উপযোগী হবে। দ্বিতীয় পদ্ধতির মধ্যে আছে ড্রাম, বালতি, টব, কনটেইনার। এসবের যেকোন একটি বা দুটি নির্বাচন করার পর পাত্রের তলায় কিছু পরিমাণ খোয়া (ইট পাথরের কণা) দিতে হবে। ইটের খোয়া পানি নিষ্কাশন এবং অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়া
এবং পাত্রের ভেতরে বাতাস চলাচলের সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রেও অর্ধেক মাটি এবং অর্ধেক পঁচা জৈব সারের মিশ্রণ হতে হবে। মনে রাখতে হবে, শাক-সবজি, ফুলের জন্য ছোট খাট টব বা পাত্র হলেও চলে। কিন্তু ফলের ক্ষেত্রে পাত্র/ড্রাম যত বড় হয়, তত ভালো। কেননা ফল গাছের শেকড় প্রকৃতিগতভাবে বেশ গভীরে যায়। কিন্তু ড্রাম/টব/পাত্রে সীমিত জায়গার অভাবে যথাযথভাবে বিস্তৃতি লাভ করতে পারে না। সে জন্য ছাদের বাগানে টব/ড্রামের আকার যত বড় হয় তত ভালো হয়। টবে/ড্রামে গাছে/ জাত নির্বাচনের পর য়ৌক্তিকভাবে সাজাতে হবে। যেমন বড় গাছ পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে না দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর পাশে দিতে হবে। এতে আলো বাতাস রোদ ভালোভাবে পাবে। তাছাড়া ছোট বড় জাতের মিশ্রণ করে সেটিং করলে গাছের গাত্র বৃদ্ধিসহ  বাড়তি ভালো হয়। আরেকটি হলো ছাদে বাগান করার ক্ষেত্রে ফল চাষাবাদে কলমের ও হাইব্রিড জাতের ব্যবহার বেশি ফলদায়ক।
OLYMPUS DIGITAL CAMERAতৃতীয় আরেকটি পদ্ধতি অনেকেই অনুসরণ করে। সুন্দরভাবে বাঁশ/পিলার রড দিয়ে জাংলো বা মাচা বানিয়ে টব/প্লাস্টিকের পাত্রে ফুল, বাহারী গাছ গাছালী, অর্কিড আবাদ করে থাকেন। এক্ষেত্রে ঝুলন্ত টব/পাত্র মাঝখানে না ঝুলিয়ে পাশে ডিজাইন করে সেটিং করলে জায়গার সদ্ব্যবহার করা যায়, দেখতেও সুন্দর লাগে।
যেভাবে করবেনঃ মাটি তো নেই, বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের। কিন্তু গাছ তো দরকার। তাই শেষ ভরসা বাড়ির ছাদ। সেখানেই ফুল, সেখানেই ফল। পৃথিবীর অনেক দেশে এখন ছাদে বাগান করা সে দেশের সিটি করপোরেশনের বাধ্যতামূলক আইন। শহরের ইট-পাথর যেন সবুজের স্পর্শ পায়, আমাদের দেশে সেসবের বালাই নেই। ব্যক্তি উদ্যোগে দুই-একটা ছাদ বাগান হয়েছে। কিন্তু নির্মল পরিবেশের জন্য যা খুবই কম। ছাদে বাগান আর মাটিতে বাগান এক বিষয় নয়, আবার কাজটি যে কঠিন, তাও নয়। জানা দরকার, ছাদের উপযোগী গাছ কোনগুলো। গাছের প্রজাতির ওপর নির্ভর করে ওই গাছটি ছাদ-বাগানের জন্য তা হাফ ড্রাম, টব নাকি চৌবাচ্চা কাঠামো করে লাগানো হবে এবং এসব গাছের জন্য পরিচর্যার ধরণ কী হবে, তা আগেই ঠিক করে নিতে হবে। খোলামেলা ছাদ থাকলেই হলো। স্থায়ী বাগান করার জন্য ছাদে সিমেন্টের স্থায়ী টব তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। গরুর নান্দার মতো বাজারে সিমেন্টের টব কিনতে পাওয়া যায়। সবচেয়ে উত্তম হয় লোহার হাফ ব্যারেল হলে। ব্যারেলের দুই পাশে হাতল থাকতে হবে। এর সুবিধা হচ্ছে টবটি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সরানো যাবে। টবের নিচে ছিদ্র থাকা জরুরি। কয়েকটি ভাঙা চাড়ি ছিদ্রের মুখে দিয়ে মাটি ভরতে হবে। তিন ভাগ মাটি, দুই ভাগ গোবর সার আর এক ভাগ পাতা পচা সার দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে টব পূর্ণ করুন। garden3বর্ষার আগে আগে টবে চারা কলম লাগাতে হবে। এই টবে ফুল, ফল, সবজির চাষ করা যেতে পারে। ফুলের মধ্যে গোলাপ, গাঁদা, দোলনচাঁপা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ইউফোরবিয়াসহ মৌসুমি সব ফুলেরই চাষ করা সম্ভব। ছাদ বাগানে সবজিও ফলতে পারে। বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, শসা, লাউ, কুমড়া, ঢেঁড়স, বরবটি, সিম, ক্যাপসিকাম, লেটুসপাতা, পুদিনাপাতা, ধনেপাতাসহ প্রায় সব ধরনের সবজি টবে ফলানো সম্ভব। ফলের মধ্যে আম, জাম, লিচু, শরিফা, সফেদা, কামরাঙ্গা, বাতাবিলেবু, জলপাই, কদবেল, ডালিম, পেয়ারা, কমলা, মালটা, কুল ছাদ বাগানকে আকর্ষণীয়, অনন্য করে তুলতে পারে। আজকাল অনেকেই ছাদ বাগান করার জন্য এগিয়ে আসছেন। তবে ছাদে ফল গাছ লাগানোর প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ছোট একটি টবে ফল ধরলে যেমন দেখতে সুন্দর লাগে, তেমনি ছাদে প্রচুর পরিমাণ রোদ লাগে বলে ফলও ভালো হয়।
ছাদে গাছ লাগানোর পদ্ধতি
ক) হাফ ড্রাম এর তলদেশে অতিরিক্ত পানি নিস্কাশনের জন্য ১ ইঞ্চি ব্যাসের ৫ / ৬ টি ছিদ্র রাখতে হবে।
খ) ছিদ্র গুলোর উপর মাটির টবের ভাঙ্গা টুকরো বসিয়ে দিতে হবে।
গ) ড্রামের তলদেশে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ইটের খোয়া বিছিয়ে তার উপর বালি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ঘ) সমপরিমাণ দোঁআশ মাটি ও পঁচা গোবরের মিশ্রণ দিয়ে ড্রামটির দুই তৃতীয়াংশ ভরার পর হাফ ড্রাম অনুযায়ী ড্রাম প্রতি মিশ্র সার আনুমানিক ৫০-১০০ গ্রাম প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে এবং সম্পুর্ণ ড্রামটি মাটি দিযে ভর্তি করে নিতে হবে।
ঙ) ১৫ দিন পর ড্রামের ঠিক মাঝে মাটির বল পরিমাণ গর্ত করে কাংখিত গাছটি রোপন করতে হবে। এ সময় চারা গাছটির অতিরিক্ত শিকড়/ মরা শিকড়গুলো কেটে ফেলতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে মাটির বলটি যেন  ভেঙ্গে না যায়।
চ) রোপিত গাছটিতে খুটি দিয়ে বেধে দিতে হবে।
ছ) রোপনের পর  গাছের গোড়া ভালভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে।
জ) সময়ে সময়ে প্রয়োজন মত গাছে পানি সেচ ও উপরি সার প্রয়োগ, বালাই দমন ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঝ) রোপনের সময় হাফ ড্রাম প্রতি ২/৩ টি সিলভা মিক্সড ট্যাবলেট সার গাছের গোড়া হতে ৬ ইঞ্চি দুর দিয়ে মাটির ৪ ইঞ্চি গভীরে প্রয়োগ করতে হবে।
ঞ) গাছের বাড়-বাড়তি অনুযায়ী ২ বারে টব প্রতি ৫০/১০০ গ্রাম মিশ্র সার প্রয়োগ করে ভাল ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
ট) গাছের রোগাক্রান্ত ও মরা ডালগুলো ছাটাই করতে হবে এবং কর্তিত স্থানে বোর্দ পেষ্ট লাগাতে হবে।
ছাদে বাগানের গুরুত্ব
(ক) টাটকা শাক-সবজি ও ফল-মূল পাওয়ার জন্য,
(খ)  বাড়তি আয় ও অবসর সময় কাটানোর জন্য ,
(গ)  কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য,
(ঘ)  ছাদের সবুজ চত্বরে বিনোদনের সুবিধা পাওয়ার জন্য,
(ঙ)  পরিবেশ দুষণ মুক্ত রাখার জন্য,
(চ)  বায়ো ডাইভারসিটি সংরক্ষণের জন্য,
(ছ)  অবকাঠামো তৈরিতে যে পরিমাণ জমি নষ্ট হয় ছাদে বাগানের মাধ্যমে তার কিছু অংশ পুষিয়ে নেওয়ার জন্য,
(জ)  বৃষ্টির পানি গড়িয়ে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য,
(ঝ)  গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়ার কবল থেকে রক্ষা পাওযার জন্য,
(ঞ)  ছাদের ইনসুলেশনের জন্য।

কোমল গোলাপি ঠোঁট পাবার ১১টি উপায়


কে না চায় একজোড়া সুন্দর ও আকর্ষণীয় ঠোঁট? কেবল একজোড়া স্বাস্থ্যজ্জ্বল ঠোঁটই আপনার হাসিকে করে তুলতে পারে আরো আকর্ষণীয়, চেহারাকে করে তুলতে পারে মোহনীয়। আর তাই জেনে নিন ঠোঁটকে সুন্দর রাখবার উপায়গুলো।
আসুন, জেনে নেয়া যাক সুন্দর গোলাপি ঠোঁট পেতে কী কী করবেন ও করবেন না-যা করতে পারেন-
১. একটি পাতলা লেবুর টুকরোর ওপরে খানিকটা চিনি ছিটিয়ে প্রতিদিন ঠোঁটে ঘষুন। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে পরিষ্কার করতে এবং লেবু সূর্যের ফলে কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁটের চামড়াকে উজ্জবল করতে সাহায্য করে।
২. মধুর সাথে চিনি এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ১০ মিনিট ঠোঁটে ঘষুন।
৩. ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক এ্যাসিড খুব উপকারী। নিয়মিত দুধ খাবার সাথে সাথে খানিকটা দুধ তুলোয় করে ঠোঁটে ঘষে নিন। শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলার মাধ্যমে দুধ ঠোঁটের কালো হওয়াকেও প্রতিরোধ করে।
৪. গোলাপের পাপড়িও ঠোঁটের গোলাপী ভাব আনতে সাহায্য করে। এজন্য গোলাপের পাপড়ি দুধের মধ্যে রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। প্রলেপটি ১৫ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর দুধ দিয়ে ঠোঁটকে মুছে নিন। প্রতিদিন এই প্রলেপটির ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে করে তুলবে আকর্ষনীয়।
৫. লেবুর ভেতরের এসিড ঠোঁটের শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রসের সাথে খানিকটা চিনি ও মধু মিশিয়ে ঘরে বসেই নিতে পারেন ঠোঁটের পুরোপুরি যত্ন। প্রলেপটি মাখার একঘন্টাপর ধুয়ে নিন।
৬. লেবুর রসের সাথে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে মাখুন। কয়েকদিনেই আপনি পাবেন চমত্কার ফলাফল।
৭. বাদামের তেল, মধু ও চিনির মিশ্রন করুন। প্যাকটি আপনার ঠোঁটকে কেবল সুন্দরই করবে না, কোমলতাও বাড়াবে।

৮. ঘুমানোর আগে ঠোঁটে পালং পাতা ঘষে নিন।সাথে রাখতে পারেন জাফরানও। এই দুটি সহজলভ্য উপাদানের নিয়মিত ব্যবহার আপনারশুষ্ক ঠোঁটকে সারিয়ে তুলবে এক নিমিষেই।
৯. কমলালেবু খাবার সময় এর বীচিগুলোকে সংরক্ষণ করুন এবং নিয়মিত ঠোঁটকে এগুলোর দ্বারা পরিষ্কার করুন।
১০. প্রতিদিন টমেটো পেষ্ট করে ঠোঁটে মাখুন। আপনার ঠোঁট হবে উজ্জ্বল।
১১. শশার রসও ঠোঁটের কালো হওয়কে প্রতিরোধ করে। ফলাফল পেতে প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট শসার রস ঠোঁটে ঘষুন।মনে রাখবেন-
  • ১. ধুমপান ঠোঁটের জন্যে ক্ষতিকর। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকুন।
  • ২. রাতে ঘুমাতে যাবার আগে লিপস্টিক তুলে ফেলতে ভুলবেননা.
  • ৩.জিহ্বা দিয়ে অবিরত ঠোঁট ভেজানো বন্ধ করুন। এতে সাময়িক আরাম মিললেও আসলে ঠোঁটের সৌন্দর্য হানি হয়। বদলে ব্যবহার করুন লিপজেল।
  • ৪. ফাস্টফুডের পরিবর্তে শাক-সব্জী খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
  • ৫. চা এবং কফির পরিবর্তে পানি খাবার পরিমাণ বাড়ান। প্রচুর পরিমাণে পানি আপনার ঠোঁটকে রাখতে পারে সুস্থ ও স্বাভাবিক সৌন্দর্যময়।

৮টি ঘরোয়া শ্যাম্পু আপনার চুলকে সুস্থ রাখবে

একের পর এক ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন কিন্তু কোনটিতেই ফল পাচ্ছেন না? জেনে রাখুন একদম ঘরোয়া উপায়ে এই ৮টি শ্যাম্পু তৈরির উপায়। রাসায়নিক শ্যাম্পু ব্যবহারে আপনার যতো ক্ষতি হচ্ছে, এসব প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহারে কমে যাবে সেই ক্ষতি। সুস্থ ঝলমলে চুল হয়ে উঠবে ভেতর থেকে সুন্দর।
১) বেকিং সোডা শ্যাম্পু
এক টেবিল চামচ সোডার সাথে এক কাপ পানি মিশিয়ে সাধারণ শ্যাম্পুর মতো ব্যবহার করুন। চুলের ময়লা কমানো এবং ড্যানড্রাফ দূর করতে এটি কাজে লাগবে। তবে এই শ্যাম্পু কিছুদিন পর পর ব্যবহার করাই ভালো।
২) লেবু ও শসার শ্যাম্পু
যাদের চুল শুষ্ক তাদের জন্য এই শ্যাম্পু খুবই কাজে আসবে। একটি লেবু ও একটি শসার খোসা ছিলে নিন। এগুলো ব্লেন্ড ক্লরে নিন ভালোমত। এরপর সাধারণ শ্যাম্পুর মতো ব্যবহার করুন। চুলে কিছু লেবুর অংশ লেগে থাকতে পারে। চুল শুকিয়ে যাবার পর চিরুনি চালিয়ে এগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।
৩) কর্ন স্টার্চ শ্যাম্পু
এই শ্যাম্পু চুল ঘন করতে সাহায্য করবে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলে নিন। এরপর এতে কর্ন স্টার্চ বা কর্ন ফ্লাওয়ার যোগ করুন যতক্ষণ না তা শ্যাম্পুর মতো ঘন হয়। এরপর সাধারণ শ্যাম্পুর মতো ব্যবহার করুন।
৪) অ্যাপল সিডার শ্যাম্পু
এক কাপ বেবি শ্যাম্পুর সাথে যোগ করুন দুই টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার। এর সাথে সিকি কাপ পানি যোগ করুন। যোগ করতে পারেন এক টেবিল চামচ টি ট্রি অয়েল। ব্যবহার করুন সাধারণ শ্যাম্পুর মতো। শুধু শ্যাম্পুই নয়, এটি কন্ডিশনারেরও কাজ করবে।
৫) নারিকেল শ্যাম্পু
চুলের জন্য নারিকেলের দুধ খুবই ভালো। পৌনে এক কাপ বেবি শ্যাম্পুর সাথে যোগ করুন সিকি কাপ নারিকেল দুধ। এর সাথে যোগ করতে পারেন এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল এবং দশ ফোঁটা আপনার প্রিয় যে কোন এসেনশিয়াল অয়েল। ব্যবহার করুন সাধারণ শ্যাম্পুর মতো।
৬) তেলের শ্যাম্পু
কী, নাম শুনেই খটকা লাগছে? কোথায় তেল আর কোথায় শ্যাম্পু! যাদের মাথার ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য কিন্তু এটা দারুণ উপকারী! সিকি কাপ পানির সাথে যোগ করুন সিকি কাপ বেবি শ্যাম্পু। এর মাঝে যোগ করুন আধা টেবিল চামচ ভেজিটেবল তেল।
৭) হার্বাল শ্যাম্পু
এর জন্য আপনার দরকার হবে দুই টেবিল চামচ শুকানো ভেষজ, যেমন ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার অথবা রোজমেরি। এটাকে আধা কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। ২০ মিনিট ঠাণ্ডা হতে দিন। এরপর এতে যোগ করুন দুই টেবিল চামচ গ্লিসারিন এবং আধা কাপ বেবি শ্যাম্পু। এরপর একে শ্যাম্পুর মতো ব্যবহার করতে পারেন।
৮) মাখন শ্যাম্পু
কোঁকড়া চুলের মেয়েদের জন্য এই শ্যাম্পুটি খুব কাজের। একটি বাটিতে মিশিয়ে নিন দুই টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল, দুই চা চামচ নারিকেল তেল এবং দুই টেবিল চামচ মাখন। সাধারণ শ্যাম্পুর মতোই ব্যবহার করুন একেও।

সুন্দর চুলের জন্য জেনে নিন কিছু পুষ্টিকর খাবার

চুলের নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। চুলের আগা ফেটে দু ভাগ হয়ে থাকে, চুলের ঝলমলে ভাব দূর হয়ে রুক্ষতা ভর করে, আবার চুল পরে যায় অনেক। এতে চুল হয়ে যায় বিশ্রী। কোনো ধরণের স্টাইলই মানায় না এই ধরণের চুলে। অনেক ক্ষেত্রে নামীদামী হেয়ার প্রোডাক্টেও কাজ হয় না। তখন আমরা সবাই বেশ বিপদে পড়ি। কিন্তু আমাদের ভুলের কারনেই হচ্ছে এই সমস্যা। এইসকল সমস্যার মূলে রয়েছে চুলের পুষ্টিহীনতা। সব সমস্যার জন্য আমাদের চুলকে দিতে হবে পুষ্টিকর কিছু খাবার।
ডিম
ভিটামিন বি এসেনশিয়াল এবং বায়োটিনে ভরপুর ডিম চুল বৃদ্ধির কাজে সহায়তা করে এবং মাথার ত্বক ভালো রাখে। চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন ডিম। এছাড়াও চুলে লাগাতে পারেন ডিমের হেয়ার মাস্ক। ২ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ৪ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে ফেটিয়ে ঘন একটি পেস্টের মত তৈরি করে চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। ব্যস চুলের অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন এবং ফোলাইট। এই সবুজ শাকটি নিয়মিত খেলে আমাদের দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে এবং এতে চুলের ফলিকলে অক্সিজেন পৌছায়। এতে করে আমাদের চুল দ্রুত বাড়ে এবং মাথার ত্বক ঠিক থাকে।
ক্যাপসিকাম
লাল, হলুদ এবং সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন সি এর খুব ভালো উৎস। ভিটামিন সি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চুলের ভঙ্গুরতা দূর করতে সাহায্য করে। চুলের সুস্থতায় সালাদ এবং রান্নায় ক্যাপসিকাপ রাখার অভ্যাস করুন।
ডাল
ডাল উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যা আমাদে দেহের কোষ বৃদ্ধিতে কাজ করে। এটি চুলের কোষ বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা করে। এতে চুল দ্রুত বাড়ে এবং চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায় ও রুক্ষতা দূর হয়। তাই খাদ্যতালিকায় ডাল রাখুন।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা চুল পরা রোধ করে। তাই মিষ্টি আলু খান চুল পরা রোধ করতে।

শীতের শুরুতে ত্বক ঠিক রাখতে



দেখতে দেখতে প্রকৃতির দরজায় কড়া নেড়েছে আরেকটি শীত। সেই সাথে শুরু হয়েছে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা।তাই এখন থেকেই শুরু হোক ত্বকের বাড়তি যত্ন। এতে শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করবে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল।


ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করুন: 
শীতে ত্বকের যত্নের শুরুতে একটি ত্বকের বাড়তি যত্ন বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডো সম্বৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে ততবার ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার: 
শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ ‍মিনিট আগে সানস্ক্রিন ক্রিম  করুন।
আদ্রতা বজায় রাখুন: 
শীতকালে ত্বকের আদ্রতা বজায় মাঝে মাঝে মুখে পানির ঝাপটা দিন। সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।
শীতের শুষ্কতা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: 
গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে যা ত্বককে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোটা জোজোবা বাদাম তেল  দিয়ে নিলে তা ত্বককে আদ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে।
ভেজা ত্বকে পরিচর্যা করুন: 
গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা ‍অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।
ঠোঁটের পরিচর্যা: 
কখনোই ‍জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিৎ নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না।
মেকআপ করার সময়:
 মেকআপ করার সময় লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। শীতকালে ক্রিম ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।
চুলের যত্ন: 
শীতকালে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিৎ নয়। এতে করে চুলের আদ্রতা নষ্ট হয় এবং চুল ভেঙে যায়।
হ্যাট পরুন: 
চুল এবং মাথার তালুর আদ্রতা ধরে রাখতে হ্যাট পরুন। তবে হ্যাটটি যাতে বেশি টাইট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
হাত
 হাত আদ্রতা ধরে রাখতে যতবার প্রয়োজন ততবার লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
পানি: 
আমাদের ত্বকের বাইরের ‍অংশ তো আমরা যত্ন নিয়ে, প্রশধনী ব্যবহারের মাধ্যমে আদ্রতা ধরে রাখতে পারি। কিন্তু আমাদের শরীরের ভেতরটা আদ্রতা ধরে রাখতে প্রচুর পানি পান করতে হবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্রাকৃতিক উপায়ে ব্লিচ করুন ঘরে বসে


ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ত্বক ব্লিচ করার ব্যাপারে অনেকেই জানেন। বিশেষ করে বড় কোনো অনুষ্ঠান বা উৎসবের আগে ব্লিচ করিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নেন অনেকেই। কিছুদিনের পরেই ঈদ। এরই মাঝে পার্লারগুলোতে বেশ ভিড় জমে গিয়েছে। কিন্তু ব্লিচ করতে পার্লারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না একেবারেই। ঘরে বসে খুবই সহজ উপায়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে ব্লিচ করে নিতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং ত্বকের উপরের মরা কোষ দূর করতে পারবেন সহজেই। চলুন তাহলে ঘরে বসে ব্লিচ করে নেয়ার সহজ পদ্ধতিটি শিখে নেয়া যাক।
যা যা লাগবে
– ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
– ১ টেবিল চামচ দুধ
– ১ টেবিল চামচ মধু
– ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো/ বাটা

পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি
– প্রথমে দুধ ও মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে তাজা লেবুর রস ভালো করে মেশান।
– তারপর হলুদ বাটা/ গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে মাস্কের মতো তৈরি করে নিন । কিছুটা পেস্টের মতো মিশ্রন তৈরি হবে।
– এবার এটি পুরো মুখে লাগিয়ে গোল গোল করে পুরো মুখে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে নিন।
– ১০ মিনিট রেখে দিন। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন।
– মুখ ধুয়ে ভালো করে মুছে নিন। ৬/৭ ঘণ্টা কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না ত্বকে।


সতর্কতা
– লেবুতে অ্যালার্জি হয় ত্বকে যাদের তারা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করবেন না
– দিনের বেলা ব্লিচ করে সরাসরি সূর্যের আলোতে বেরুবেন না, প্রয়োজনে রাতে ব্লিচ করুন।

Wednesday, November 11, 2015

Nice Hair Style


Ribbon coild bun hair tutorialThis week we are showing how to make a unique "coiled bun" updo hairstyle.  This bun would be great for dance, ballet, figure skating, recitals, communions, weddings, (a cute flower girl hairstyle) for church, holidays, special occasions, etc. 

The technique used to make this bun is fairly easy and quick.  If you know how to make a rope braid and a slide-up braid (or snake braid) this should be a cinch for you. As mentioned in our video tutorial (below) there really is no exact science to creating this bun and some of it will depend on the length of hair you are working with.  These coils can be manipulated somewhat to be stretched longer, or scrunched up shorter... and you can really arrange them however you want to form the updo.
Ribbon coiled bun tutorial. Great hairstyle for ballet.We chose to tie our leftover ribbon into a bow at the side of the bun for a sweet "girlish" touch.  The bow can also be placed at the bottom of the bun, or at the top of the bun (depending on how you arrange your coils.)  Of course, If you prefer not to add a bow to your updo at all, you can clip your ribbon and tuck in the ends for more of a grown up look.
Bun tutorial for dance, ballet, special occasions


Supplies needed to recreate this bun:

  • 1 hair tie or elastic to make the initial ponytail.
  • 4 medium size clear elastics.
  • 2 pieces of ribbon. (Our ribbons were each about 4 feet long and 1 inch thick.)
  • Several bobby pins.
*Tip:  I would suggest adding water, gel, or pomade to your hair before you attempt making the coils to help avoid flyaways. Also, the width and texture of the ribbon you use is going to make a difference in how these coils turn out, so you may want to experiment.

We featured a similar technique several years ago in our "spring rings hairstyle" in which we used 2 thin strands of hair to make the rope braid and slide up.  We used this technique to accent a simple half up style in that tutorial. With the original technique, you end up with one long stand of hair and one coiled strand, which isn't ideal for some hairstyles. We decided to try making the coils using ribbon (instead of hair) this time to eliminate the one long remaining strand of hair and ended up loving how the ribbon looks peeking through, especially when pinned up into a bun. The other perk of using ribbon instead of hair becomes apparent when the coils are taken down the next day, and all of your hair is curled into ringlets (instead of only half of it.) You could actually use this as a no heat curling method if you wanted to!

At the end of our video tutorial we show how to make a super easy 5 minute messy bun with the 2nd day coils. This is just an example of an endless amount of styles that could be made with these fun ringlets.

Easy messy bun tutorial, second day hairstyle

Easy messy bun tutorial, second day hairstyle

We first saw the original unique looking coiled braid accented on a style at a Renaissance Faire several years ago and have used it a few times since in a variety of styles.  I think this ribbon bun variation is our favorite so far!  We have also seen several pictures of hairstyles using the original technique to accent hairstyles on Pinterest and Facebook. Two accounts I have noticed who have used this braid in a variety of hairstyles are "cute and glossy" and "hair braiding" if you are looking for more ideas.

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More